রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কাল বৈশাখী ঝড়ে বিয়ানীবাজারের বিস্তৃর্ণ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ও খুঁটির ব্যাপক ক্ষতি করে। ঘুর্ণিঝড়ে পাঁচটি খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে এবং শতাধিক স্থানে সরবরাহ লাইন ছিড়ে পড়ে। ঝড়ের কয়েকঘন্টার মধ্যে বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ এর দায়িত্বশীলরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেন।দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করায় বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুতের দায়িত্বশীলদের আন্তরিকতা ও কাজের প্রতি দায়িত্বশীলতায় মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। এজন্য দায়িত্বশীলদের ধন্যবাদ জানান তারা।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে কাল বৈশাখী ঝড়ে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে ৬দিন লেগেছে। ২০১৮ সালে কাল বৈশাখী ঝড়ের ৫৬ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছিল। অথচ রবিবার দুপুরে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড়ের মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পেরেছে বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ।

মাথিউরা খলাগ্রামের বুরহান উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে কিংবা অসময়ে চলে গেলেিআমরা গালমন্দ করি- আমাদের কাছে এমনটাই স্বাভাবিক। সেজন্য পল্লীবিদ্যুতের ভাল দিক আমাদের চোখে সেভাবে পড়ে না। তিনি বলেন, শক্তিশালী একটি ঝড়ের ৬ থেকে সাড়ে ৬ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে কল্পনাই করতে পারিনী। আমার ধারণা ছিল মঙ্গলবার বিদ্যুৎ হয়তো স্বাভাবিক হবে। কারণ ২০১৭ সালে ৬দিন পর বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম।

দুবাগের মেওয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে। এতে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি মুখোমুখি প্রতি বছর আমাদের হতে হয়। গতকালকের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারপরও রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে দেখে অবাক হয়েছি। তিনি বলেন, দেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, পল্লীবিদ্যুতের দায়িত্বশীলদের কর্মপন্থ ও পরিকল্পনা-কাজে তার আঁচ লেগেছে, এটা দেখে আমি অভিভূত।

বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ পরিচালক শফিউর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা অনেক কঠিন। উপজেলাবাসীকে সাথে নিয়ে সে কঠিন কাজটি করেছে পল্লীবিদ্যুৎ। মূলত: গত কয়েকমাস থেকে বিদ্যুৎ লাইনের উপর ও আশপাশ থেকে গাছপালা অপসারণ করায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি।

পল্লীবিদ্যুৎ বিয়ানীবাজার অফিসের ডিজিএম অভিলাশ চন্দ্র পাল বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সংবাদ মাধ্যম কিংবা জনপ্রতিনিধি যারাই রবিবার বিকাল থেকে যোগাযোগ করেছেন সবাইকে একটি কথাই বলেছি- আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছি। আমাদের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন বলেই কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলাবাসীর সহযোগিতার কারণে আমাদের কাজে সহায়তা হয়েছে। গত কয়েক মাসের পরিশ্রমের ফল আমরা হাতেনাতে পেয়েছি। আশাকরি আগামীতে উপজেলাবাসী পল্লীবিদ্যুৎকে সহযোগিতা করবেন।